চাঁদের আলো হচ্ছে প্রতিফলিত আলো

আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান 

ড.জাকির নায়েক

আদি সভ্যতাগুলো বিশ্বাস করতো যে, চাঁদ তাঁর নিজস্ব আলো দেয়। বিজ্ঞান আমাদেরকে জানায় চাঁদের আলো
হচ্ছে প্রতিফলিত আদ্যো। অবশ্য ১৪০০ বছর পূর্বে কুরআন নিচের আয়াতটিতে এ বিষয়টিই উল্লেখ করা হয়েছিল?
شارك الذي جعل في السماء بروجا وجعل فيها سراجا وقمرا منبرا –
“কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমণ্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্ৰ ।”
-সূরা আল-ফুরকানঃ ৬১
কুরআনে সূর্যের জন্য ব্যবহৃত শব্দ হচ্ছে
(শামস)। আবার / (সিরাজ) হিসেবেও উল্লেখ করা হয়
যার অর্থ মশাল, ‘ওয়াহহাজ’ হিসেবে যার অর্থ ‘প্রজ্জ্বলিত ৰাতি’ অথবা ‘দিয়া’ হিসেবে যার অর্থ উজ্জ্বল জ্যোতি।
তিনটি বর্ণনার সবগুলোই সূর্যের জন্য যথোপযুক্ত, কারণ সূর্য অন্তর্দাহের মাধ্যমে প্রচণ্ড তাপ ও আলো উৎপন্ন করে
(Internal combustion হচ্ছে যে প্রক্রিয়ায় কোন কিছুর অভ্যন্তরে গ্যাস বা বাষ্পের বিস্ফোরণের দরুন শক্তি(ক্বামার) হচ্ছে চাঁদের জন্য কুরআনে ব্যবহৃত আরবী শব্দ এবং এটি কুরআনে (মুনীর) হিসেবে বর্ণিত
হয়েছে যা প্রতিফলিত আলোদানকারী একটি বস্তু। তাছাড়া, চাঁদ হচ্ছে একটি নিস্ক্রিয় বস্তু, যা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে, চাঁদের প্রকৃতিগত এ বৈশিষ্ট্যের সাথে কুরআনে বর্ণিত বর্ণনা যথাযথ মিলে যায়। কুরআনে শুধুমাত্র সূর্যকে ! (সিরাজ), (ওয়াহহাজ) বা (দিয়া) হিসেবে এবং চাঁদকে (নূর) বা (মুনীর)হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। বরং কুরআনে চাঁদের আলো ও সূর্যের আলোর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পার্থক্যের দিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
নিচের আয়াতগুলো সূর্যের ও চাঁদের আলোর প্রকৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত-
هو الذي جعل الشمس ضياء والقمر بورا –
“তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সূর্যকে উজ্জ্বল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো
বিতরণকারীরূপে।” -সূরা ইউনূসঃ ৫
الـم تـروا كيف خلق الله سبـع سـمـوت طباقا – وجعـل القمر فيهن نورا وجعل
الشمس سرجا –
“তোমরা কী লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সন্তু আকাশ স্তরে স্তরে, এবং সে
রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।” – সূরা মুখ ১৫-১৬
সূর্যের আলো এবং চাদের আলোর প্রকৃতির পার্থক্যের ব্যাপারে কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান এভাবেই
সামঞ্জস্যতা বিধান করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
Scroll to Top